![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/08/FB_IMG_1660664971634.jpg)
খুলনা জেলার পাইকগাছাতে প্রায় ১৮০ হে: জমিতে লেবু জাতীয় ফসল চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাল্টা। জাত বারি মাল্টা -১। চাষীরা এটাকে পয়সা মাল্টা বলে কারন মাল্টার পিছনে পয়সার মত সেপ থাকে।
গদাইপুরের তকিয়া গ্রামের সি আই জি কৃষক জনাব নজরুল ইসলামের ২ টি মাল্টা বাগান আছে। সেখানে প্রায় ৩৫০০ গাছ আছে। থোকায় থোকায় মাল্টা ধরেছে।
গত বছর প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছিল। এবার সেখান থেকে ৩ লক্ষ্য টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাছাড়া তিনি কলমের জন্য মাতৃ সায়ন বিক্রয় করেন প্রতিটি ৬-৮ টাকা।
মটবাটি গ্রামের শৌখিন কৃষক জনাব জিয়াউদ্দিন ৫.৫ বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে গড়ে তুলেছেন তার সপ্নের মাল্টা বাগান। সেখানে প্রায় ৪১০০ টি মাল্টার গাছ আছে।
![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/08/FB_IMG_1660664977613.jpg)
তিনি সেখানে আবার মিনি গার্ডেন টিলার দিয়ে ফসল ব্যবস্থাপনা করেন। তিনি চলতি বছর ২০ মন মাল্টা বিক্রি করেছেন। প্রতি মন ৩২০০-৩৫০০/- টাকা। এছাড়া সেখানে তিনি সাথী ফসল হিসাবে লাল শাক চাষ করছেন।
বিদেশী মাল্টার চেয়ে দেশি মাল্টার সাধ অনেক অনেক বেশি এবং তাজা। আগামীতে আমাদের নতুন কৃষক মাল্টার চারা রোপন করেছেন। তাদের মাল্টা ১-২ বছর পর দেখা যাবে। চলতি বছর জিকেবিএসপি ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রকল্পের আওতায় প্রায় আমরা ১৭ জন কৃষকের মাল্টা বাগানের প্রদর্শনী দিয়েছি।
এছাড়া হরিঢালি গ্রামের জনাব ইলিয়াস মোল্লা ৫২ টা মাল্টা গাছ থেকে এ বছর ৮৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রয় করেছেন। ইলিয়াস কে ৪ বছর আগে মাল্টার প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছিল। অন্যন্য কৃষক ভাইয়ে মাল্টা চাষে এগিয়ে আসবেন আমাদের কাছে। পাইইগাছার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী।
গদাইপুরের অনেক নার্সারীতে মাল্টার চারা পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার পাইকগাছা আপনাদের সহযোগিতা করবে। আমি আশা করছি মাল্টা ফল সারা দেশে আগামীতে বেশি চাষ হবে এবং এই ফল রপ্তানি নির্ভরতা থাকবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।